ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : পামরি পোকার দখলে কুর্তি কদমতলা ব্লক এলাকার ধানক্ষেত ।কৃষকদের মাথায় হাত । কুর্তি কদমতলা বিধানসভার অন্তর্গত বসবাসকারী জনসাধারণ প্রায় অধিকাংশই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ধান উৎপাদন করে সারা বছর সংসার প্রতিপালন করেন তারা। সারা বছর আউশ জাতীয় এবং আমন জাতীয় ধানের ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। বেশ কিছুদিন যাবৎ এক বিরল প্রজাতির পোকার আক্রমণে তাদের ধানের জমির সমস্ত ধান নষ্ট হচ্ছে । দেখা যাচ্ছে ধানের উপর বসার প্রায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ধানের চারা গাছের রস খেয়ে সাদা করে দিচ্ছে । পুরো জমিতে লাগানো ধান গুলি এবং সাথে সাথে গাছগুলিকে মেরে ফেলছে ওই বিরল প্রজাতির পোকাগুলি। কৃষকদের কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার পর কৃৃষি দফতর থেকে পোকা মারার জন্য ক্ষেতের ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে । কদমতলা কৃষি মহাকুমার আধিকারিক শরদিন্দু নারায়ণ দত্ত, ধর্মনগর এগ্রিকালচার ডেপুটি ডাইরেক্টর স্বপন সিনহা, কদমতলা আইডি ব্লক এর ভিডিও কমল দেববর্মা কদমতলা আইডি ব্লক এর চেয়ারম্যান সুব্রত দেব, ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাভূষণ দাস মহাশয়, কালাগাঙ্গের পাড় গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন বেশ কয়েকটি কৃষকের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে কথা বলেন। এগ্রিকালচার ডেপুটি ডাইরেক্টর স্বপন সিনহা জানান এই বিরল প্রজাতির পোকা মারার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ঔষধ দিয়ে দিয়েছেন । কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কৃষকদের জমিতে ঔষধের ব্যবহার করা হচ্ছে । কিছুটা স্প্রে মেশিনের ঘাটতি আছে তবে বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। কৃষকদের কাছে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জানানো হয়েছে । এই পোকার আক্রমণ অতটা তীব্র নয় । যদি সব কৃষক মিলিতভাবে জমিতে এই ঔষধের স্প্রে করে দেন তাহলে এ পোকার আক্রমণ থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যাবে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব জানান কুর্তি কদমতলা বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল , তাই আধিকারিকদের সাথে নিয়ে সরজমিনে পরিদর্শনে এসেছেন । পরিদর্শন শেষে আধিকারিকদের সাথে নিয়ে এই সমস্যা সমাধান কিভাবে করা যায় তা নিয়ে বৈঠক করবেন।